মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে মোটরসাইকেলসহ সাধারণ যানবাহনের ওপর। কিন্তু অজানা কারণে রোববার (২৯ জুলাই) সকাল থেকেই সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা কম।
মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, গৌরহাঙ্গা রেলগেট, কাদিরগঞ্জ গ্রেটাররোড, শালবাগান, নওদাপাড়া, লক্ষ্মীপুর, তালাইমারী, আদালতপাড়া, কুমারপাড়া, প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, মণি চত্বর, সোনাদিঘীর মোড় ও তালাইমারী শহীদ মিনার রোডসহ বিভন্ন সড়ক ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমানে মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছে। এছাড়া মহানগরীর কাঁটাখালি, নওদাপাড়া ও কাশিয়াডাঙ্গা এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মহানগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার অধিবাসী মোজাফফর আলী বলেন, সকাল থেকে মূলসড়কের পাশে থাকা অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেননি। এমনকি চায়ের স্টল ও খাবার হোটেলও বন্ধ রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষকে নানান ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মহানগরীর বিন্দু হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের (২) ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হোটেলের অনেক কর্মচারীর বাড়ি রাজশাহীর বাইরে। আর নির্বাচন উপলক্ষে রাজশাহীর স্থায়ী বাসিন্দা নন এমন মানুষের ওপর করপোরেশন এলাকায় থাকা নিয়ে নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। তাই হোটেল বন্ধ রাখা হয়েছে।
মহানগরীর গৌরহাঙ্গা এলাকার চা ব্যবসায়ী নুরুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনের সময় সবাই দলবেঁধে আসেন। একসঙ্গে চায়ের ওয়ার্ডার দেন। কিন্তু ঠিকমতো বিল না দিয়ে চলে যান। চা পান শেষে এমনও হয় কে কার বিল দেবেন তা খুঁজে পাওয়া যায় না। এজন্য আজ সকাল থেকে চায়ের স্টল বন্ধ রেখেছেন নুরুল হুদা।
এদিকে রাজশাহীর বাইরের অধিবাসী হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে কর্মকর্তারা ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। তাই উপস্থিতি কম হওয়ায় রাজশাহীতে আজ অফিস-আদালতের কার্যক্রমও ঢিলেঢালাভাবে হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে ভোটকেন্দ্র হওয়ায় একদিন আগেই ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের ছাত্রাবাস ও মেসগুলো খালি হয়ে যাওয়ায় নগরী অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। ফলে ভোটের আগেই রাজশাহী শহরে ছুটির আমেজ বিরাজ করছে। চিরচেনা সেই কর্মচাঞ্চল্য নেই। মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতেও সকাল থেকে চলাচল করছে নামমাত্র যানবাহন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এসএস/এএটি