সেইসঙ্গে এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য তার সরকার প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিচ্ছে বলে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন।
চার দিন আগে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের পাল্লাপাল্লিতে রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ এরই মধ্যে সড়ক পরিবহন আইনটি ভেটিং দিয়ে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। আর এ বিষয় নিয়ে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আনিসুল হক।
কথা বলার শুরুতেই মন্ত্রী বলেন, যে দুই ছাত্র এবং ছাত্রী এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা, তাদের দু’জনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
সড়ক দুর্ঘটনায় স্বজন হারানোর চাক্ষুষ সাক্ষী আইনমন্ত্রী নিজেও। ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি দুর্ঘটনায় আনিসুল হকের স্ত্রী নূর আমতুল্লা রীনা হক প্রয়াত হয়েছেন।
দুঃসহ স্মৃতি রোমন্থন করে অনেকটা আবেগতাড়িত হয়ে আনিসুল হক বলেন, আমি শুধু এটুকু তাদের বলতে চাই যে, ১৯৯১ সালে এ রকম একটা দুর্ঘটনায় আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়েছি।
‘একটা সড়ক দুর্ঘটনায় বা রেল দুর্ঘটনায় কেউ যদি নিহত হয়, তার পরিবারের কী অবস্থা সেটা সম্পর্কে আমার সম্মুখ অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলছি, আমি অত্যন্ত ব্যথিত। ’
দুই সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনার বিচার দাবিতে গত চার দিন ধরে ঢাকার রাজপথে যানবাহন ভাঙচুর এবং আগুন দিয়ে অবরোধ করে আসছে শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদের মুখে সড়ক পরিবহন আইন অনুমোদনের উদ্যোগ ছাড়াও সেই জাবালে নূর পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল করেছে সরকার। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক করছে।
সে সব প্রসঙ্গ টেনে বিগত তত্ত্বাধায়ক সরকারের আমলে কারা অন্তরীণ থাকাকালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আইন লড়াই চালিয়ে যাওয়া আনিসুল হক বলেন, এ রকম দুর্ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেটা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার যা যা উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন, সে সব উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৮
এমআইএইচ/টিএ