শনিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলেছে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ নিয়ে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
অভিযোগ উঠেছে, ছড়িয়ে পড়া ‘গুজব’কে কেন্দ্র করে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হামলা করেছেন। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা ধানমন্ডিতে অবস্থান নিতে চাইলে হামলার শিকার হন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ের দিকে যান। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন তারা। এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের বাধা দেন। এর সূত্র ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ।
পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেলও ছোড়া হয়। এ সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন সংঘর্ষে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে দাবি করেছেন। তবে কারা গুলি ছুড়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পরে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা। বিএনপি-জামায়াতের লোকজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দিচ্ছে। এটা বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র।
হামলায় আওয়ামী লীগ অফিসের ১৭ জন আহত হয়েছেন এবং তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা ঝিগাতলার সড়কে অবস্থান নিতে চাইলে মাথায় হেলমেট পরে লাঠি-সোটা নিয়ে একদল যুবক তাদের ধাওয়া দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের অন্যান্য জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা ঝিগাতলার দিকে আসতে থাকে। ‘মারধরের’ কথা শুনে শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডির দিকে এগোতে চাইলে আশপাশে অবস্থান নেওয়া আরও একদল যুবক শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে লাঠি হাতে থাকা যুবকরা শিক্ষার্থীদের মারধর করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঝিগাতলা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাপসাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, আহত দু’জনকে ঢামেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮
এজেডএস/এইচএমএস/এমএ/এইচএ/