শনিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে জিগাতলা-ধানমন্ডি এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনরতদের সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় কার্যালয়টি ঘুরে শিক্ষার্থীরা এ কথা বলেন।
এর আগে, দুপুরে ‘গুজবকে’ কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে এগোতে চাইলে সংঘর্ষ বাঁধে, বিকেল পর্যন্ত চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনে সন্ধ্যার আগে পুলিশ তাদের ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যায়। সেখানে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা শিক্ষার্থীদের কার্যালয় ঘুরিয়ে দেখান। তারপর আওয়ামী লীগের কার্যালয়েই সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা।
এতে ঢাকা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী কাজী আশিকুর রহমান তূর্য বলেন, ‘দুপুরে নামাজের পর হঠাৎ কিছু লোক এসে বলে, আমাদের চারজন বোনকে আর ক’জন ছেলেকে আওয়ামী লীগ অফিসে আটকে রাখা হয়েছে। তখন আমাদের একটি অংশ আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে চলে আসে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ অফিসে এসে দেখলাম, এমন কিছু ঘটেনি। ’
আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে তূর্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মেরে ফেলা বা আটকে রাখার যে তথ্য আমরা পেয়েছিলাম, তা গুজব। আপনারা কেউ গুজবে কান দেবেন না। ’
সংঘর্ষের ঘটনার পর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা। বিএনপি-জামায়াতের লোকজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দিচ্ছে। এটা বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র।
হামলায় আওয়ামী লীগ অফিসের ১৭ জন আহত হয়েছেন এবং তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮
এসকে/এইচএ/
** ‘রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা বেশ ধরে আ’লীগ অফিসে হামলা করেছে’