আর দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকতে রাজশাহীতে হঠাৎ করেই মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে হেলমেট ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। যা কয়েকদিন থেকে বেশ লক্ষণীয়৷
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে জানান, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বর্তমানে কাউকেই যানবাহন চালাতে দেওয়া হচ্ছে না।
সোমবার (০৬ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে মহানগরীর ব্যস্ততম পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক বিষয়ক সচেতনতামূলক ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো হয়। পাশাপাশি মহানগরীর জিরোপয়েন্ট, লক্ষ্মীপুর ও গোরহাঙ্গা মোড়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে আরএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সচেতনতামূলক স্টিকার লাগান।
ট্রাফিক সপ্তাহ সফল করার লক্ষ্যে মহানগরীর জিরোপয়েন্ট, লক্ষ্মীপুর ও গোরহাঙ্গা এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের মোটরযান আইনে মামলা দেওয়ার পাশাপাশি সচেতনতামূলক লিফলেটও দেওয়া হয়।
এ সময় রোভার স্কাউট, গালর্স গাইড ও কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা এ কাজে আরএমপি পুলিশকে সহযোগিতা করেন বলেও জানান মহানগর পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এদিকে, দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকতে রাজশাহীতে হঠাৎ করেই মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে হেলমেট ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তাই হঠাৎ করেই বেড়েছে মোটরসাইকেলে হেলমেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা। মোটরপার্সের দোকানে বেড়েছে হেলমেট বিক্রি।
রাণীবাজার এলাকার সাজ্জাদ মোটর্সের সত্ত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থা কড়াকড়ি হওয়ায় ক’দিন থেকেই হেলমেটের বিক্রি বেড়েছে। মামলা এড়াতে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। তাই মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট ব্যবহার করছেন। এটি চলমান থাকলে দুর্ঘটনার হার কমবে বলেও মন্তব্য করেন এ ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/