ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীতে ঈদের জামাতে সন্ত্রাসবাদ পরিহারের আহ্বান 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
রাজশাহীতে ঈদের জামাতে সন্ত্রাসবাদ পরিহারের আহ্বান  রাজশাহীতে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহীতে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২২ আগস্ট) সকাল ৮টায় হজরত শাহ্ মখদুম (রহঃ) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে শুরু হয়। এতে ইমামতি করেন, মহানগরের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামীয়া শাহ্ মখদুম (রহঃ) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ শাহাদাত আলী।

সহকারী ইমাম ছিলেন হেতমখাঁ বড় মসজিদের ইমাম মুফতি মালানা ইয়াকুব আলী। বয়ান করেন জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা নাজমুল হক। তাকে সহায়তা করেন মুফতি কারী রেজাউল করিম।  

একই সময়ে নগরের ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় মহানগর ঈদগাহ (টিকাপাড়া) ময়দানে। তৃতীয় জামাতও অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় মহানগরের সাহেব বাজার বড় রাস্তায়।  

রাজশাহী শাহ্ মখদুম (রঃ) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে প্রায় অর্ধ লাখ মুসল্লি ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন।
 
রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আমিনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতারাসহ সাধারণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।  

ঈদের প্রধান জামাতে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে দেশ ও জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির স্বার্থে সাম্যের ডাক দেওয়া হয়। আহ্বান জানানো হয় সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ পরিহারের।  

পরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সবাই একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা এবং কুশলাদি বিনিময় করেন।

এছাড়া একই সময় মহানগরের ১১৮টি ঈদগাহসহ আশপাশের শতাধিক ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
 
ঈদের নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রয়াত পিতা-মাতা ও স্বজনদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য বিভিন্ন গোরস্থানে যান এবং কবর জিয়ারত করেন।  

পরে ঈদ জামাত থেকে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে সবাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ত্যাগের মহিমায় সাধ্যমত পশু কোরবানি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
এসএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।