সরেজমিন মিরপুর ১০ নম্বর ও গোলচত্বর, কল্যাণপুর, ফার্মগেট, শাহবাগ, মহাখালী, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কোনো রুটের গণপরিবহনই এ নির্দেশনা মানছে না।
দুর্ঘটনা হলে সহজেই চালক, হেলপারকে চিহ্নিতকরণের জন্যই মূলত এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গণপরিবহনগুলো এই নির্দেশনা না মানলেও যাত্রীদেরও এ নিয়ে তেমন রা নেই। বেশ কয়েকটি রুটে যাত্রীদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাদের বেশিরভাগই জানেন না নির্দেশনাটি সম্পর্কে। তাদের বক্তব্য এ নিয়ে আরো প্রচারণার প্রয়োজন ছিল। সাধারণ যাত্রীরা না জানার কারণেই তারা চালক, হেলপারকে চাপ দিচ্ছে না।
মিরপুর-যাত্রাবাড়ী রুটের শেকড় পরিবহনের যাত্রী আলিমুল ইসলাম বলেন, এমন নির্দেশনার কথা পত্রিকায় পড়েছি। কিন্তু কার্যকর তো দেখছি না। আমি নিজেও কখনো এ নিয়ে কিছু বলি না, কারণ সবাই ঐক্যবদ্ধ না হলে পরে হেলপার দুর্ব্যবহার করবে।
অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশ বিষয়টি দেখছে না বলে জানিয়েছেন মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে দায়িত্বপালনকারী সার্জেন্ট ঝোটন সিকদার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, চালক-হেলপারের ছবিসহ নাম, চালকের লাইসেন্স নম্বর ও মোবাইল নম্বর প্রদর্শনের বিষয়টি দেখছে বিআরটিএ। আমরা অন্য নির্দেশনাগুলো দেখছি।
এ বিষয়ে বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক মো. মাসুদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রায় প্রতিদিনই এজন্য মামলা করছে। শুধু আইন দিয়ে বাস্তবায়নের চেয়ে সাধারণ যাত্রীদের সহায়তাও আমাদের প্রয়োজন। তারা নিজেরাও চালক-হেলপারদের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য চাপ দিতে পারেন।
এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি গঠিত সড়কে শৃঙ্খলা বিষয়ক ভিজিল্যান্স টিমের আহ্বায়ক আবুল কালাম বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (০১ সেপ্টেম্বর) থেকে আমরা সড়কে থাকবো। বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস