শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) শনিরআখড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রনি (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সকাল ১০টার দিকে শনিরআখড়া ফ্লাইওভার ব্রিজের ওপরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রনিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রথচারী মো. রাহিদ ও হানিফ জানান, শনিরআখড়া ফ্লাইওভার ব্রিজের একটি স্থানে বৈদ্যুতিক তারের কাজ করছিলেন রনি। সেখানে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং রনি ফ্লাইওভারে পড়ে যান। পরে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই যুবকের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, নিহত যুবকের নাম রনি। বাবার নাম তোবারক হোসেন। গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুরে। পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় থাকতেন এবং ইন্টারনেটের কাজ করতেন।
এদিকে শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দিনগত মধ্যরাতে মহাখালীর বটতলা দক্ষিণ পাড়ার একটি বাসা থেকে আইভি আক্তার (১৮) নামের এক গার্মেন্টসকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে বনানী থানা পুলিশ।
রংপুর পীরগাছা উপজেলার মাছবাড়ি গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে আইভি। পরিবারের সঙ্গে মহাখালী বটতলার দক্ষিণপাড়ার টিনসেড বাসায় থাকতেন তিনি।
বনানী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ রাত দেড়টায় ওই বাসা থেকে আড়ার সঙ্গে ওড়না পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।
আইভির বোন আইরিন জানান, তেজগাঁও এলাকার একটি গার্মেন্টসে সহকারী হিসেবে চাকরি করতেন আইভি। রাতে গার্মেন্টস থেকে ফিরে নিজের রুমে গিয়ে গলায় ফাঁসি দেন তিনি। দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে।
তবে গলায় ফাঁস লাগানোর কারণ জানাতে পারেননি বোন আইরিন।
এছাড়াও রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আমানউল্লাহ আমান (১১) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আমান গেন্ডারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গেন্ডারিয়া সতিশ সরকার রোডে গেন্ডারিয়া হাইস্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সারে ১২টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই স্কুলেরই ২ ছাত্র জাহাঙ্গীর আলম ও ইমন ইসলাম জানায়, স্কুল গেটের বিপরীতে রাস্তার পাশে একটি গ্যাসের পাইপের ওপর বসে ছিল আমান। এসময় পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুটিতে স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আমান। সঙ্গে সঙ্গে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত আমানের খালু আবদুল খালেক জানান, সুত্রাপুর নতুন রাস্তার ৯৯/২ নম্বর বাসায় মা’য়ের সঙ্গে থাকতো সে। তার বাবা মৃত বাদল আহমেদ। মা মুনিয়া বেগম বাসায় সেলাই মেশিনে কাজ করে। তার একমাত্র ছেলে আমান।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়গুলো নিশ্চিত করে জানান, ময়না তদন্তের জন্য মরদেহগুলো মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এনএইচটি