শুক্রবার (৩১ আগষ্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বাসটি জব্দ করা হয়। তবে মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাস জব্দের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, ফয়সাল গঞ্জেরাজ পরিবহনের বাসটি ফরিদপুরে নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পড়েছিল। সেখান থেকে কুষ্টিয়া পুলিশ বাসটি জব্দ করে ভোরে কুষ্টিয়ায় নিয়ে আসে। তবে মামলার কোনো আসামিকে সে সময় ওই এলাকায় পাওয়া যায়নি। মামলার আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হবে।
ইতোমধ্যে বাসটির গঞ্জেরাজ নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করাসহ বাসের নম্বর প্লেট তুলে ফেলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় সেখানে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নুরানী ফেরদৌসী দিশাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজশাহী থেকে ফরিদপুরগামী গঞ্জেরাজ পরিবহনের একটি বাস চৌড়হাস মোড়ের কাউন্টারে এসে থামে। ঠিক সে সময় থেমে থাকা বাসের সামনে দিয়ে এক বছরের শিশুকন্যা আকিফাকে কোলে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন মা রিনা বেগম। হঠাৎ কোনো হর্ন ছাড়াই চালক খোকন বাসটি চালিয়ে এসে রিনাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান। এতে মায়ের কোল থেকে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে আহত হয় আকিফা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় আঘাত পাওয়ায় শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুধবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় সেখানে আকিফা অস্ত্রপচার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। সে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকার ভুষি ব্যবসায়ী হারুন-উর-রশিদের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ঘাতক বাসচালক খোকন, সুপারভাইজার ও বাসমালিক জয়নুল আবেদিনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন আকিফার বাবা হারুন-উর-রশিদ।
** সেই বেপরোয়া বাসচালকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
** বাসের ধাক্কায় মায়ের কোলে থাকা শিশু আহত
** বাসের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়া শিশুর মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এসআরএস
