ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বাসে একা পেয়ে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮
বাসে একা পেয়ে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাসে একা পেয়ে প্রতিবন্ধী এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বাসচালক আলম খন্দকার (৪৫)। 

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাতে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব প্রান্তের ইব্রাহিমাবাদ বাসস্ট্যান্ডে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।  

এ ঘটনায় চালকের সহকারী নাজমুলকে (২৫) আটক করা হয়েছে।

তিনি শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।  

আলম ভূঞাপুর উপজেলার ভূঞাপুর গ্রামের মৃত ইন্নছ আলীর ছেলে এবং নাজমুল একই উপজেলার যমুনা ৩ নম্বর পুনর্বাসন এলাকার আতোয়ার রহমানের ছেলে। তারা (যশোর-ব-৪৪২) বাসের চালক ও সহকারী।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরে আলম বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব প্রান্তে টহলরত পুলিশ দল ওই এলাকার নৈশপ্রহরী শাহ আলমের মাধ্যমে জানতে পারে যে, বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসের ভেতর নারীর কান্না শোনা যাচ্ছে। খবর পেয়ে ওই টহলদল বাসটিতে গিয়ে প্রতিবন্ধী এক নারীকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ওই বাস চালকের সহকারী নাজমুলকে আটক করে।  

শুক্রবার (৩১ আগস্ট) উপ-পরিদর্শক নুরে আলম বাদী হয়ে বাসচালক আলম ও আটক নাজমুলকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় চালক আলমের বিরুদ্ধে ওই নারীকে ধর্ষণ এবং সহকারী নাজমুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।  

শুক্রবার সন্ধ্যায় নাজমুলকে ওই মামলায় টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দেন। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. আশিকুজ্জামান তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ শেষে নাজমুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে নাজমুল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর ওই নারী টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তগামী বাসটিতে (যশোর-ব-৪৪২) ওঠেন। পথে বিভিন্ন স্থানে অন্যসব যাত্রীরা নেমে যান। সেতুর পূর্ব প্রান্তের বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছার পর ওই নারীকে একা পেয়ে চালক আলম তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় নাজমুল বাসের দরজায় দাঁড়িয়ে থেকে পাহারা দেন।

এদিকে ধর্ষনের শিকার ওই নারীকে শুক্রবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে গাইনি ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক রেহানা পারভীন, নওশিন জাহান ও ফরিদা ইয়াসমিন ধর্ষিতাকে পরীক্ষা করেন। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডাক্তারি পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবিরুল হক জানান, প্রতিবন্ধী ওই নারী শুধু নিজের নাম এবং বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায় এটুকুই বলতে পারেন। শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) তাকে টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর আবেদন করা হয়। আদালত তাকে গাজীপুরের পুবাইলে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।