শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ব্যাংকের সঞ্চয়পত্রে যৌথ নামে থাকা ২০ লাখ টাকার জন্য মারধরের অভিযোগে ৮ মাস আগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে জিডিও দায়ের করেছিলেন নিহত স্বামী শাহাদাত।
জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জের আশুরান এলাকার সামছুল হক মোল্লার পুত্র শাহাদাত হোসেন মোল্লা শহরের জামতলা ধোপাপট্টি এলাকার সোহাগ মিয়ার বাড়ির তৃতীয় তলার পশ্চিম দিকের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তিনি ডিজিপি পিএনটি নামের একটি অডিট সংস্থার সিনিয়র অডিট কর্মকর্তা ছিলেন। ৫ বছর পূর্বে শাহাদাত অবসরে যান। তার স্ত্রীর নাম বিলকিস বেগম। তাদের সংসারে শারমিন জাহান নিপা ও লুনা নামে দুই মেয়ে ও শাকিল মোল্লা নামে এক ছেলে রয়েছে।
নিহতের মামাতো ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নিহত শাহাদাতের মাসদাইর এলাকায় বাড়ি ছিল। এর আগে তার স্ত্রী বিলকিস বেগম স্বামী শাহাদাতকে মারধর করে বাড়ি ও স্বর্ণালংকার করায়ত্ত করেন। সোনালী ব্যাংকের সঞ্চয় ব্যুরোতে স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ নামে ২০ লাখ টাকা ছিল। সেই টাকা নেয়ার জন্য বিলকিস প্রায় সময়ই শাহাদাতকে মারধর করতেন।
নিহতের ছেলে শাকিল মোল্লা জানান, তার পিতা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি প্রায়ই কাউকে কিছু না বলে ঘর থেকে বের হয়ে যেতেন। এ ব্যাপারে এর আগে তারা একবার ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেছিলেন। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশকে জিডি নম্বর বলতে পারেননি শাকিল।
তিনি আরো জানান, ২ দিন আগে তার পিতা কাউকে কিছু না বলে ঘর থেকে বের হয়ে যান। পরে তাকে লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেসময় তার পিতার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তারা ধারণা করেছেন তার পিতা কোন ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন। পরে চিকিৎসককে দেখিয়ে কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তার পিতা রোগাক্রান্ত হওয়ায় কিছু খেতে না পারায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শাকিলের দাবি অসুস্থতাজনিত কারণেই তার পিতার মৃত্যু হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজালাল জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। ময়নাতদন্তের পরে হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮
এমজেএফ