দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, রাজধানীর নিউ বেইলি রোডে রাজউকের নিয়ম না মেনে বাড়ি নির্মাণ হয়েছে, দুদক হটলাইনে (১০৬) আসা এমন একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ভবনে অভিযান চালায় দুদক।
সহকারী পরিচালক মইনুল হাসান রওশনীর নেতৃত্বে রাজউকের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পাঁচ সদস্যের একটি টিম বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮) এ অভিযানে অংশ নেয়। টিম সরেজমিনে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে, ১৭/২ নং নিউ বেইলি রোডস্থ প্লটটিতে রাজউকের বিধান মতে চারপাশে ৩০ শতাংশ জায়গা সংরক্ষণের কথা থাকলেও কোনো জায়গা না ছেড়ে সমগ্র প্লট জুড়েই বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে রাজউকের সহকারী অথরাইজড অফিসার আবদুল লতিফ ও পরিদর্শক জুলফিকার আলী সিদ্দিকি ভবনটিতে নিয়ম বহির্ভূত স্থাপনা হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রাজউক অতিদ্রুত আইনি পদক্ষেপ যেমন ভবনের অবৈধ অংশ অপসারণসহ জরিমানার উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে দুদক টিমকে রাজউকের প্রতিনিধিরা নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে দুদক বলছে, রাজউকের আইনানুগ প্রক্রিয়ায় নেওয়া সব পদক্ষেপ দুদক নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এছাড়া রাজউকের কোনো কর্মকর্তার গাফলতি আছে কি-না দুদক তাও খতিয়ে দেখবে।
এর আগে গত ২৬ জুলাই গুলশানের নিকেতন এলাকার একটি প্লটে রাজউকের নকশা বহির্ভূতভাবে ইমারত নির্মাণ কাজ বন্ধ এবং রাজউকের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে দুদক।
একইভাবে ৭ আগস্ট দুদকের হস্তক্ষেপে নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকার একটি প্লটে রাজউকের নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়।
এ অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি থেকেই আইন ভাঙার সংস্কৃতি জন্ম নেয়। এ প্রবণতা বন্ধে দুদকের নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮
আরএম/এসএইচ