এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আবসানের কর্মকর্তা ও পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকা বাইপাস সড়কের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মোগড়খাল এলাকায় মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র নামের একটি সেফ হোম রয়েছে।
রাত ১২টার দিকে কেন্দ্রের কর্মকর্তারা তদারকি করতে গিয়ে ২০৫ নম্বর কক্ষে গিয়ে কাউকে দেখতে পায়নি। তখন জানালার গ্রিলও ভাঙ্গা দেখতে পায়। পরে কেন্দ্রের কর্মকর্তারা রাতেই বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে জয়দেবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাসন সড়ক এলাকা থেকে ৩ জন এবং ওই কেন্দ্রের পেছনের দিকের রাস্তা থেকে একজনকে আটক করে।
শনিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে পালিয়ে যাওয়া আরো ৮ কিশোরী মির্জাপুর রেল স্টেশন এলাকায় রেল পথ ধরে হাটছিলো। এ সময় আশপাশের লোকজনের কাছে তাদের আচরণ ও কথাবার্তা সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মির্জাপুর রেল ষ্টেশন থেকে ওই ৮ কিশোরীকে আটক করে।
ওই কেন্দ্রের সুপার জোবাইদা খাতুন জানান, নিবাসীরা কৌশলে খাটের লোহার পায়া খুলে সেটি দিয়ে জানার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি রাতে তদারকি করতে গিয়ে তাদের কাছে ধরা পড়ে। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ গাজীপুর ও মির্জাপুর থেকে ১২ জন আটক করেছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, পালিয়ে যাওয়া কিশোরীদের মধ্যে ১২ জনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। পরবর্তীতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সতর্ক পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮
আরএস/এসএইচ