মন্ত্রী জানান, বৈধ হওয়ার জন্য রিহায়ারিং কর্মসূচিতে নাম নিবন্ধনকারী কর্মী/শ্রমিকদের ভিসা প্রাপ্তির কার্যক্রম আগামী শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত চলমান থাকবে। যার মাধ্যমে তারা ভিসা গ্রহণ করে বৈধভাবে অবস্থান করতে পারবেন।
সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক বৈধ করার বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া সফরকালে অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করার জন্য সে দেশের সরকারের কাছে অনুরোধ জানান। তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সরকার ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘রি-হায়ারিং প্রোগ্রাম’ চালু করে। যার মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হয়। একই সঙ্গে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয় এই মর্মে যে, যারা সেদেশে (মালয়েশিয়ায়) অবৈধভাবে আছেন তাদের কোনো ধরনের শারীরিক শাস্তি ব্যতিত শুধু আর্থিক জরিমানা দিয়ে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করতে পারবেন। বৈধ হওয়ার জন্য রিহায়ারিং কর্মসূচিতে নাম নিবন্ধনকারী কর্মী/শ্রমিকদের ভিসা প্রাপ্তির কার্যক্রম আগামী শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত চলমান থাকবে। যাতে তারা ভিসা গ্রহণ করে বৈধভাবে অবস্থান করতে পারবেন। এজন্য হাইকমিশন থেকে প্রতিনিয়ত চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, রিহায়ারিং কর্মসূচিতে রেজিস্ট্রেশনসহ ব্যবস্থাপনার জন্য মালয়েশিয়ার ৩টি ভেন্ডর কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই তিন কোম্পানির যেকোনো একটি কোম্পানিতে কোম্পানির মালিক/প্রতিনিধিসহ গিয়ে নাম রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুরোধ জানানো হয়। কোনো দালাল, এজেন্ট বা মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে রিহায়ারিং কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার ব্যাপারে তাদেরকে সর্তক করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এসএম/জেডএস