সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুচীন্ত চৌধুরী নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুস সামাদকে সভাপতি করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করেন।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- ডা. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী ও ডা. জান্নাত আরা চৌধুরী।
সিভিল সার্জন সুচীন্ত চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে নবীগঞ্জের অরবিট হাসপাতালে আসা সুস্থ শিশুকে মৌলভীবাজারে পাঠানো হয়। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়, ঘন ঘন হেঁচকি ওঠার কারণে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ফুলতলী এলাকার রুবেল মিয়া ও শিরিনা আক্তারের ৪০ দিন বয়সী শিশু ইসমত নাহার জিবাকে নবীগঞ্জের আউশকান্দি বাজারের অরবিট হাসপাতালের ডা. খায়রুল বাশারের কাছে নিয়ে আসা হয়। এ সময় ডা. খায়রুল বাশার শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক উল্লেখ করে তাকে দ্রুত মৌলভীবাজারের মামুন হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল থাকা স্বত্ত্বেও সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে মৌলভীবাজারের মামুন হাসপাতালে ছুটে যান তার বাবা-মা। সেখানে কর্তব্যরত ডা. বিশ্বজিতের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন ডা. খায়রুল। তাদের কথোপকথন হয় শিশুটির মায়ের মোবাইল ফোন দিয়েই। চিকিৎসকরা জানতেন না যে মোবাইলটিতে অটো কল রেকর্ডার রয়েছে।
কথোপকথনের শুরুতেই ডা. বাশারকে উদ্দেশ্য করে ডা. বিশ্বজিৎ বলেন, ‘তোমার রোগীর তো কোন সমস্যাই নাই’ সম্পূর্ণ সুস্থ। উত্তরে ডা. খায়রুল বাশার বলেন, ‘ভালো বলার দরকার নেই, আমি তো জানি রোগী ভাল। মা হাইপার সেনসেটিভ, রোগীকে ভর্তি করে ইঞ্জেকশন দিয়ে দে।
পরবর্তীতে শিরিনা আক্তার তাদের কল রেকর্ড শুনে বুঝতে পারেন তার শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ। শুধুমাত্র টাকার জন্য তাদের মৌলভীবাজারে পাঠানো হয়েছে।
চিকিৎসকদের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও এ ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এনটি