সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বৈঠক থেকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, সরকারের প্রচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তারা।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে গত ১০ বছরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ১০ বছরের কার্যক্রমের প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, অধিকাংশ মন্ত্রণালয় এ প্রতিবেদন তৈরিও করেছে। এসব পুস্তক আকারে প্রকাশ, তথ্যচিত্র নির্মাণ, ব্যানার, পোস্টারসহ বিভিন্ন পন্থায় প্রচার করা হবে। তবে এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমকে। এক্ষেত্রে ফেসবুক রয়েছে এক নম্বরে। পাশাপাশি টুইটার, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার করা হবে সরকারের সাফল্যগাঁথা।
প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ খুলতে মৌখিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। এটি সার্বক্ষণিক সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কিংবা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান।
জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেক কর্মকর্তার ফেসবুক আইডি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন মুখ্য সচিব। সর্বশেষ কবে পোস্ট করেছেন, ফলোয়ার কতো- এসব তথ্য তিনি বৈঠকেই জেনে নেন। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে মন্ত্রণালয় কিংবা বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা তথা পাবলিক রিলেশন অফিস ভিজিট করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি ওয়েবসাইট সার্বক্ষণিক সচল রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট জনসংযোগ কর্মকর্তাদের। বৈঠকে বিভিন্ন দেশের ওয়েবসাইট দেখানো হয়, যেগুলোতে কয়েক মিনিট আগেও তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে মাসের পর মাস চলে গেলেও তথ্য হালনাগাদ করা হয় না বলে বৈঠকে মন্তব্য করা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১০ বছরের প্রতিবেদন পর্যায়ক্রমে ওয়েবসাইটে প্রচার করার নির্দেশনাও দেওয়া হয় বৈঠকে।
এ প্রসঙ্গে মৎস ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আধুনিক সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জনসংযোগ কর্মকর্তাদের। এছাড়া মন্ত্রণালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্য বেশি বেশি প্রচারের নির্দেশনাসহ ডিএফপিকে আরও শক্তিশালী করা, নিজস্ব প্রেস ক্রয়, তথ্যচিত্র নির্মাণের সক্ষমতা অর্জনের নির্দেশনাও দেওয়া হয় বৈঠকে। ’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা শাহেদুর রহমান বলেন, ‘এতোদিন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রচারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হতো আমাদের। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফেসবুক। শুধু তাই নয়, এক নম্বরে রাখতে বলা হয়েছে ফেসবুককে। প্রত্যেক কর্মকর্তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি সচল রাখা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক সংবাদ শেয়ার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
এজেড/এএইচ/এইচএ/