সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের সুনামগঞ্জ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সহপাঠী ও এলাকাবাসী অংশ নেন।
মানববন্ধনে সুনামগঞ্জ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন, এ ঘটনায় আমরা লজ্জিত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, সুনামগঞ্জ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি এক শিক্ষার্থীকে (১৫) স্কুলে আসা ও যাওয়া পথে মধুপুর উপজেলার মহিষমারা (মন্ডলপাড়া) গ্রামের মো. হযরত আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (২০), আয়েন উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০) ও মৃত আ. রশিদের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২) উত্ত্যক্ত করতেন। গত ১৫ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে ওই স্কুলছাত্রী পাশের গ্রামে ফুফুর বাড়িতে যাওয়ার পথে ওই তিন বখাটে যুবক মহিষমারা গ্রামের সিংহমারীর একটি বাগানে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষণ করে। গণধর্ষণের পর ওই স্কুলছাত্রীকে ফেলে রেখে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যান। পরে তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। স্কুলছাত্রীর বাবা এ ঘটনা শুনে মামলা করার প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্ররোচনায় মীমাংসার নামে সময়ক্ষেপণ হয়।
এ ঘটনার ১৯ দিন পর স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই তিন বখাটের নাম উল্লেখ করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
স্কুলছাত্রীর বাবা হাসমত আলী অভিযোগ করেন, গত ২ সেপ্টেম্বর বিচারের নামে স্থানীয় মাতব্বররা শালিসী বৈঠকে বসে। শালিস বৈঠকে তারা গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের জরিমানা করে আপোষ করা সিদ্ধান্ত দেন। এ সিদ্ধান্ত আমি মানিনি। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি-তদন্ত) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গণধর্ষণের মামলাটি সর্বাধিক গুরুত দিয়ে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
আরআইএস