এর আগে ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় একই পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছিল ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটর।
তিস্তা ব্যারেজের বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র বাংলানিউজকে জানায়, ভারি বর্ষণের সঙ্গে উজানের পাহাড়ি ঢলে সোমবার সকাল থেকে তিস্তায় পানি বেড়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারেজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। তা বেড়ে গিয়ে রাত ৯টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টের নতুন বিপদসীমা নির্ধারন করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার সকালে পানি প্রবাহ কমতে শুরু করে। সকাল ৯টায় কমে গিয়ে বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা পাড়ের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে খুলে দেয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো জলকপাট।
তিস্তার পানিতে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন, পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চর এলাকার ২০ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার একর আমন ধানের ক্ষেতসহ অনেক ফসলের ক্ষেত তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামের অস্থায়ী বাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। এসব বাঁধ ভেঙ্গে গেলে তিস্তার পানি হাতীবান্ধা শহরে ঢুকে পড়বে। আদিতমারী উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার না করায় হুমকির মধ্যে পড়েছে মহিষখোচা ও সদরে খুনিয়াগাছ বাগডোরা অংশে। ইতোমধ্যে চর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।
হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বাড়লেও মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি প্রবাহ কমতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
এসআই