এর আগে সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে সুন্দরবন কেন্দ্রিক বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়েবয়া এলাকায় এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে গভীর সমুদ্রে টহলরত নৌবাহিনী জাহাজ তুরাগ ট্রলারটিকে উদ্ধারের জন্য তাৎণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাসমান অবস্থায় নয় জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত জেলেরা হলো মো. হানিফ (৪০), মো. আবুল কালাম (৪২), মো. জাকির হোসেন (৪৭), মো. সুজন (২৮), মো. রুবেল (২৮), মো. মুসা (২২), মো. জাকারিয়া (১৬), মো. কবির (৪২) ও মো. মনির (২০)।
উদ্ধারকৃত ও নিখোঁজদের সবার বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে। উদ্ধারকৃত জেলেদের নৌবাহিনীর মেডিকেল টিম কর্তৃক জাহাজ তুরাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে ইতোমধ্যে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ট্রলার ও নিখোঁজ তিন জেলে উদ্ধার হয়নি। স্বাধীন-৩ নামে ট্রলারটি পাথরঘাটা থেকে এসে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ছিল। সোমবার ভোরে বাণিজ্যিক একটি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে ট্রলারটি উল্টে যায়। নৌবাহিনী জাহাজ তুরাগ গভীর সমুদ্রে টহলকালে উল্টে যাওয়া ট্রলার ধরে ভেসে থাকা অবস্থায় নয় জেলেকে উদ্ধার করে।
নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার ফয়সাল সাংবাদিকদের জানান, ইতোমধ্যেই জীবিত উদ্ধারকৃত নয় জেলেকে চিকিৎসা দিয়ে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ তিন জেলের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, এফবি স্বাধীন-৩ ট্রলারের মালিক মো. মোস্তফা মিয়া পাথরঘাটা থানায় মঙ্গলবার (১১সেপ্টেম্বর) একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। যার নম্বর-৫৭৬।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
আরএ