মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের পিপলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মিথিলা ও নাঈম উপজেলার পিপলা কারিগরপাড়া গ্রামের নুর ইসলাম ওরফে শুকুরের সন্তান।
মিথিলা স্থানীয় ব্র্যাক স্কুল ও নাইম পিপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ওই গ্রামের হাবিলের দোকান থেকে দু’টি সিঙ্গারা কিনে খায় মিথিলা ও নাঈম। এরপরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা বমি করতে থাকে। পরে তাদের বাড়িতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাতে তাদের অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
পরে তাদের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় মিথিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়। নাঈম ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নিহত শিশুর দাদা আফজাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জীবিকার তাগিদে তার ছেলে এবং ছেলে বউ তিন সন্তান রেখে ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। নাতি-নাতনিরা তার কাছেই থাকে। সকালে তারা না খেয়ে স্কুলে যায়। দুপুরে মিথিলাকে নিয়ে নাঈম পার্শ্ববর্তী হাবিলের দোকানে গিয়ে সিঙ্গারা কিনে খায়। ওই সিঙ্গারা খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তার নাতি-নাতনি বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে দোকানদার হাবিল জানান, তিনি সকালে এক সঙ্গে ৪৯টি সিঙ্গারা তৈরি করেছেন। প্রায় সব সিঙ্গারাই তার বিক্রি হয়ে গেছে। এদের মতো আরও অনেক শিশুই তার দোকান থেকে সিঙ্গারা খেয়েছে। কিন্তু তাদের তো কোনো সমস্যা হয়নি।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসক ডা. রবিউল করিম শান্ত বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে আরেক শিশু নাঈম আশঙ্কামুক্ত।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের পরিবার থেকে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। হাসপাতাল থেকে এ ব্যাপারে কোনো প্রকার প্রতিবেদনও দেননি। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছেন ওই দোকান থেকে আরও অনেকেই সিঙ্গারা খেয়েছেন, তাদের কোনো সমস্যা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
আরবি/