দুরারোগ্যব্যাধিতে আক্রান্ত সাড়ে ৪ বছর বয়সী জুনায়েদ সম্পর্কে তার বাবা-মা’র কাছে এমন কথাই শুনিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিকে জুনায়েদের মা রুমা আক্তার সন্তানের বেঁচে থাকা না থাকা নিয়ে আশা নিরাশার এ তথ্য জানান বাংলানিউজে।
জুনায়েদ নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের বাঁশহাটি গ্রামের বাসিন্দা মো. জুয়েল মিয়ার ছেলে। দরিদ্র হতভাগ্য পিতা জুয়েল জেলা শহরের একটি দোকানের কর্মচারী।
দেড় বছর বয়স থেকে শিশু জুনায়েদ ক্যান্সারে আক্রান্ত। সন্তানের চিকিৎসায় গ্রামের বাড়ির জায়গা জমি সহায় সম্বল সবকিছু বিক্রি করেছেন জুয়েল!
জুয়েল ও তার স্ত্রী রুমা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, দেড় বছর বয়স থেকে তাদের বুকের ধন জুনায়েদ ক্যান্সারে আক্রান্ত। এখন বয়স সাড়ে চার বছর। ময়মনসিংহ ও ঢাকা সব জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছেন তারা।
অর্থের অভাবে এখন চিকিৎসা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা দিতে পারলে এখনো প্রাণে বেঁচে যাবে জুনায়েদ। কিন্তু চিকিৎসা না পেয়ে রাতদিন যন্ত্রণা ভোগ করছে শিশুটি।
সারাক্ষণ কোলে রাখতে হয় তাকে। ফুলে যাচ্ছে হাত-পা। পুরো শরীরজুড়ে শুধু ব্যথা। মুহূর্ত ঘুমোতে পারে না সে!
এমতাবস্থায় সন্তানকে বাঁচানোর জন্যে সমাজের হৃদয়বান বিত্তশালী সবার কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন জুয়েল ও রুমা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
জেডএস