বরিশালের শ্রী শ্রী শংকর মঠ, জগন্নাথ দেবের মন্দির, ফলপট্টি, নতুন বাজার, কাঠপট্টি, বাজার রোড এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে গত কয়েকদিন ধরে। এসব স্থানে বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে হয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কারিগর ও মৃৎশিল্পীরা।
কারিগররাও মতে, গতবারের থেকে নতুন আঙ্গিকে এবারে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন তারা।
তারা জানান, এবার অনেকেই ভারতীয় স্টাইলেও প্রতিমা তৈরি করছেন। আবার অনেকে বাঙালি সাজে মা দুর্গাকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। তবে কাঁচাপণ্যের দাম বাড়ায় এবার প্রতিমা তৈরিতে গতবছরের থেকে খরচ বাড়বে বলে জানিয়েছেন শ্রী শ্রী শংকর মঠ মন্দিরে দুর্গা প্রতিমার কারিগর বাকেরগঞ্জের কলসকাঠি এলাকার সুমন পাল।
মায়ের প্রতিমা সুন্দর হলে পূজাটাও সুন্দর কাটে বলে জানিয়ে শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কিশোর কুমার দে বাংলানিউজকে বলেন, দুর্গা পূজা আকর্ষণীয় করতে মূল আকর্ষেই হলো মা দুর্গার প্রতিমা। আর বলা যায়, এই প্রতিমা তৈরির মধ্যে দিয়েই দুর্গা উৎসবের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তাই প্রতিমা তৈরিতে কারিগরদের সেই ধরনের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
নগরের সদর রোডস্থ জগন্নাথ দেবের মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির কোষাধ্যক্ষ গোপাল সাহা বাংলানিউজকে জানান, এবারে আমাদের দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ফরিদপুর থেকে সুজন পাল নামে কারিগরকে আনা হয়েছে। আশা করি আমাদের দুর্গা মায়ের প্রতিমা ভক্তদের আকর্ষণ বাড়াবে। এছাড়াও দুর্গা প্রতিমা বাদেও বেশ কয়েকটি আলাদা আলাদা প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন অসুর ও দেব দেবতাদের নিয়ে। সব মিলিয়ে প্রতিমা তৈরিতেই আমাদের প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে এবং সেই অনুযায়ী কারিগর কাজ করছেন।
প্রতিমা তৈরির কজের শেষের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যাবে আলোকসজ্জার কাজ। বিগত বছরগুলোর ন্যায় পূজা মণ্ডপ ছাড়াও মণ্ডপ সংলগ্ন সড়কে আলোকসজ্জা করা হবে।
পূজা জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন কর বাংলানিউজকে জানান, বরিশাল মহানগরে এবারে সার্বজনীন ৩৮টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে এবং ব্যক্তিগত রয়েছে ৫টি পূজা মণ্ডপ। গতবারের পূজা মণ্ডপের সংখ্যার থেকে এবারে ৩টি মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া বরিশাল জেলায় ৫৯৮টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এমএস/এএটি