বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে উপজেলার তারাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহত আরেকজন জাকির হোসেন (২৮)। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামে তার বাড়ি। তিনি ট্রাকের চালক ছিলেন।
নিহত অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি ট্রাকের হেলপার ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তারাপুর এলাকায় বালুভর্তি একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ০২-০৪৫৬) রাস্তার বাম পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো। এ সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের ওই নৈশকোচটি (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৬০-২৭) পেছন থেকে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী সদর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও পুঠিয়া সদর স্টেশনের তিনটি ইউনিয়ন ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে তাদের কর্মীরা গিয়ে উদ্ধার করা শুরু চালাচ্ছে।
উদ্ধার কাজে পুঠিয়া থানা পুলিশ এবং পবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাও অংশ নিয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফরহাদ হোসেন জানান, আহতদের সবাই বাসের যাত্রী। তাদের মধ্যে চার-পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, তারা উদ্ধার কাজে সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সহায়তা করছেন।
এছাড়া নিহত ও আহতদের নাম পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এসএস/এমএ