ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

তেতুলিয়া নদীর ভাঙন থেকে ধূলিয়া ইউনিয়ন বাঁচানোর দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
তেতুলিয়া নদীর ভাঙন থেকে ধূলিয়া ইউনিয়ন বাঁচানোর দাবি বাউফল উপজেলা জনকল্যাণ সমিতির মানববন্ধন-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলাধীন ইউনিয়নকে তেতুলিয়া নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছে বাউফল উপজেলা জনকল্যাণ সমিতি।

শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটির আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত দুই-তিন দশক থেকে তেতুলিয়া নদীর কপুল গ্রাসে ধূলিয়া ইউনিয়নের বাসুদেবপাশা, মঠবাড়িয়া, ধুলিয়াসহ কয়েকটি গ্রাম এবং ঐতিহ্যবাহী তহসিল কাচারীর দ্বিতল ভবন এবং লাল দীঘি ইতোমধ্যে তেতুলিয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বর্তমানে এসব গ্রামের কয়েক হাজার জনগণ ভাসমান অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। গত কয়েক বছর থেকে নদী ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কৃষিজমি, পানের বরজসহ হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, হাসপাতাল সর্বনাশা তেতুলিয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অবশিষ্ট যা আছে তাও হুমকির মুখে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে এবং জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।  

বক্তারা আরও বলেন, ইউনিয়নটিতে সব মিলিয়ে কয়েক হাজার লোক বসবাস করছে। ধান ও পাট উৎপাদন ছাড়াও জেলেরা তেতুলিয়া নদীতে ইলিশ মাছ ধরে দেশে-বিদেশে রপ্তানি করে জীবিকা নির্বাহ এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। কিন্তু তাদের মৌলিক চাহিদাই পূরণ হচ্ছে না। এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সংগঠনটির সভাপতি এম এ মজিদ মিয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সেলিম, জহির উদ্দিন মো. বাবর, মোফাজ্জল হোসেন, ধূলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুসহ নদী ভাঙনের ফলে ধূলিয়া থেকে আগত ভুক্তভোগীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।