শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে মাসিক পত্রিকা ‘করাদালত’ এর তিন দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বলা হয়, যারা কর দেয় তারাই সমস্যার সম্মূখীন হয়, আর যারা কর দেয়না তাদের কোনো সমস্যা হয়না।
‘আমাদের দেশের বিদ্যমান কর আইনকে গবেষণা করে আরো সহজীকরণ করা হলে জনগণ কর দিতে উৎসাহিত হবে। তাছাড়া বিকল্প বিরোধের মাধ্যমে কর মামলাগুলো নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে অধিক মনোযোগী হলে কর তথা রাজস্ব সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। কর ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা এখন সময়ের দাবি। ’
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আরও বলেন, ‘সরকার রাজস্ব আয় বর্ধিত করার উদ্দেশ্যে করণীতি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে এনবিআর রাজস্বের ৫০ শতাংশ আয়কর খাতে আদায়ের লক্ষ্যে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এক দশক আগেও এনবিআর আয়কর খাতে রাজস্বের মাত্র ২০ শতাংশ আদায় করতো। ইতোমধ্যে সরকার এ হারকে ৩৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। যা আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক এবং পরার্থপরতার অর্থনীতি থেকে আমরা পরিত্রাণ পাচ্ছি। আশা করি কাঙ্খিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিগণিত হবে। ’
করাদালত পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আইনজীবী আবু আমজাদের সভাতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমীরুল ইসলাম, বার কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম ও ট্যাক্সেস ল’ইয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুল হুদা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
ইএস/এসএইচ