সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সদর দফতরে ‘ইনভেস্টমেন্ট ফর এডুকেশন অব উইমেন অ্যান্ড গার্ল’ শীর্ষক এক আলোচনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর উদ্যোগে এ আলোচনায় অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতে সহায়তা করায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তিনি ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশই শিশু জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শিশুদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে ইউনিসেফের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ১১ হাজার শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে এক লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুকে মানসিক-সামাজিক সহায়তা এবং মৌলিক জীবনভিত্তিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সমসাময়িক এই পরিস্থিতিতে আমি তিনটি পরামর্শ তুলে ধরতে চাই। প্রথমত, রোহিঙ্গাদের বিপক্ষে বৈষম্যমূলক আইন, নীতি ও পদ্ধতি মিয়ানমারকে অবশ্যই বাতিল করতে হবে এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলো উদঘাটন ও সময়মতো প্রকাশ করতে হবে।
‘‘দ্বিতীয়ত, মিয়ানমারের সব রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা, অধিকার ও নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে সব রোহিঙ্গা নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য মিয়ানমারে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি করতে হবে। ’’
‘‘তৃতীয়ত, রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারকে জবাবদিহিতা ও বিচারের আওতায় আনা। বিশেষ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনে’র সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। ’’
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এমইউএম/ওএইচ/