ঢাকা, রবিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে নারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের মরদেহ উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
বরিশালে নারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের মরদেহ উদ্ধার

বরিশাল: বরিশালের লুৎফর রহমান সড়কের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) মারুফা আক্তারের(৪১) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ওই সড়কের শরীফ মঞ্জিলের তলার একটি ফ্লাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।  

মৃত মারুফা কাশীপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও নগরের গণপাড়া এলাকার জহিরুল হায়দার চৌধুরীর স্ত্রী।

তার স্বামী জোহুর হায়দার চৌধুরী ঢাকায় প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বাড়ির মালিকের সঙ্গে নিঃসন্তান মারুফার কথা হয়। সকালে ঢাকায় অবস্থানরত জহিরুল হায়দার চৌধুরী তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার রিং দিলেও ফোন রিসিভ করেননি মারুফা। পরে জহিরুল বাড়ির মালিকের কাছে ফোন দিয়ে তার স্ত্রীর অবস্থান এবং ফোন রিসিভড না করার কারণ জানতে চান। বাড়ির মালিক ওই ফ্লাটের সামনে গিয়ে মারুফার ফ্ল্যাট ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পেয়ে বিষয়টি জহিরুলকে জানান। জহিরুল তার বড় ভাইকে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে পাঠান। বড় ভাই ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে আটকানো দেখে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানান। পরে কাউন্সিলর পুলিশে খবর দিলে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, মারুফা আক্তার এই বাসায় সাত বছর ধরে ভাড়া থাকতেন। দুপুরে তার ঘরের ভেতর মরদেহ এমনভাবে পরে থাকতে দেখা গেছে, যা দেখে ধর্ষণের পরে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে বলে দাবি প্রতিবেশীদের।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অরবিন্দু বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডটি রহস্যজনক হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।  

কেন না মারুফার বাসাটি ভেতর থেকে আটকানো ছিল এবং তার ডান কান ও মাথায় ধারলো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান এসআই অরবিন্দু ।

এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি-তদন্ত) এ আর মুকুল বাংলানিউজকে জানান, ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে এ বিষয়গুলো বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।