রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় যাদুঘরে ‘নদ-নদী রক্ষায় আইনের প্রয়োগ এবং উন্নয়ন বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বিশ্ব নদী দিবসের প্রেক্ষাপটে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
শাজাহান খান বলেন, নদীর সীমানা চিহ্নিতকরণ, নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদকৃত জায়গা যাতে পুনর্দখল হয়ে না যায় সে লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগসহ বিভিন্ন নদীর সীমানা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে সাড়ে নয় হাজার সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে, আরও ১০ হাজার সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে। এ নদীগুলোর তীরে প্রায় দশ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৫০০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগসহ বিভিন্ন নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকৃত জায়গা যাতে পুনরায় দখল হয়ে না যায় সেজন্য ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ অক্টোবর শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে নদীগুলোর উভয় তীরে ২২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নদীর তীরে বনায়ন ও সুন্দর পরিবেশের জন্য ঢাকার শ্যামপুর ও নারায়ণগঞ্জে দু’টি ইকোপার্ক’ নির্মাণ করা হয়েছে। আশুলিয়া, সিন্নিরটেক ও টঙ্গীতে আরও তিনটি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হবে।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আব্দুল জলিল, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান এবং নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এজেড/আরআইএস/