পুলিশ বলছে, ছিনতাইকারী চক্র কৌশলে অটোরিকশাটি ভাড়া করে কোনো এক নির্জনস্থানে নিয়ে গিয়ে দুদু মিয়াকে হত্যা করে মরদেহটি রাবার বাগান এলাকায় ফেলে সেটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স জানান, রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খবর পেয়ে তিনি মরদেহটি দেখতে যান।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি হিসেবে মরদেহটি উদ্ধার করার পরিচয় জানার জন্য মরদেহের ছবি বিভিন্ন অনলাইন ও ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। পরে ছবি দেখে নিহতের স্বজনরা মরদেহটি সিএনজি চালক দুদু মিয়ার বলে শনাক্ত করে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল মনছুর বাংলানিউজকে জানান, নিহত দুদু মিয়া সিএনজিচালক। শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র তাকে হত্যা করে সিএনজি গাড়িটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকা থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ওই সিএনজিটি ভাড়া করে। পরে নির্জন কোনোস্থানে নিয়ে গিয়ে চালককে হত্যা করে রামু রাবার বাগান এলাকায় মরদেহটি ফেলে চলে যায়। নিহত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন এবং গলায় সাদা রশি মোড়ানো ছিল।
তিনি বলেন, নিহতের স্বজনেরা এখনো মরদেহ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলেই মামলা রুজু করা হবে
নিহত দুদু মিয়ার স্বজনেরা জানান, দুদু মিয়া প্রতিদিন সিএনজি (অটোরিকশা) চালিয়ে বাড়ি ফিরতেন। শনিবার রাতে তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। রোববার অনলাইন নিউজ ও ফেসবুকে ছবি দেখে তারা থানায় গিয়ে এ ঘটনা জানতে পারেন।
এদিকে চালককে নৃশংসভাবে হত্যা করে সিএনজি ছিনতাইয়ের খবরে সর্বত্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে আতংকিত পরিবহন চালক-শ্রমিকরা এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এএটি