ঢাকা, রবিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নারী তত্ত্বাবধায়ক আছিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৮
নারী তত্ত্বাবধায়ক আছিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা গ্রেফতার হওয়া তিন হত্যাকারী

সিলেট: গাড়ির কাগজ ফেরত নিতেই প্রবাসীর বাড়ির নারী তত্ত্বাবধায়ক আছিয়া বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে চার ঘাতক। হত্যার আগে চার জনের তিন জন ওই নারীকে ধর্ষণ করে। হত্যার পর সুদের ২০ হাজার টাকার বিপরীতে গাড়ির কাগজ ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে হত্যাকাণ্ডর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে হত্যার বর্ণনা দেয় গ্রেফতার তিনি যুবক।

আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম তিনজনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি।

এরআগে রোববার পৃথক অভিযান চালিয়ে আছিয়া বেগম হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করে মোগলাবাজার থানা পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসএমপির ডিসি (দক্ষিণ) আজবাহার আলী শেখ, সহকারী কমিশনার সুদ্বীপ দাশ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম।
 
গ্রেফতারা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের নুনু মিয়ার ছেলে আব্দুল বাছিত (২০), তুরখকলা গ্রামের মাওলানা আকবর আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহাদি (১৮) ও বিন্নাকান্দি গ্রামের মৃত ইনসান আলীর ছেলে কামিল আহমদ তাজমুল।
 
গ্রেফতার বাছিতের কাছ থেকে নিহতের লুট করে নেওয়া একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

জবানবন্দির বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, লেগুনা চালক সুমন আছিয়া বেগমের কাছ থেকে গাড়ির কাগজ জমা দিয়ে ১০ হাজার টাকা নেন। হত্যা ঘটনার কিছুদিন আগে আছিয়া টাকার জন্য চাপ দেন।

অন্যদিকে টাকা না দিয়ে কাগজ ফেরত নেওয়ার পায়তারা করে সুনম। এরই জের ধরে ২৩ সেপ্টেম্বর ইলেকট্রিশিয়ান ৩ বন্ধুকে নিয়ে চারজন বাড়িতে ঢোকে আছিয়া ও তার ১০ বছরের ছেলেকে বেঁধে ফেলে। গাড়ির কাগজ খুঁজতে ঘর তছনছ করে তারা। এরপর বিছানায় বেঁধে রাখা আছিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

পুলিশ জানায়, বাড়ির মালিক আবু বক্কর ও হেলাল আহমদ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। সীমানা প্রাচীর ঘেরা নির্জন বাড়িটিতে আছিয়া তার দুই ছেলে সুমন আহমদ (১০) ও ইমন আহমদ (১৫) নিয়ে বসবাস করে আসছেন। ঘটনার দিন বড় ছেলে ইমন আহমদ নগরীতে একটি দোকানে কাজে ছিল। বাড়িতে ছিল ছেলে সুমন আহমদ। তাকে অন্য কক্ষে বেঁধে রেখে তার মাকে হত্যা করা হয়।

এসএমপির মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, মোগলাবাজার থানার হরগৌরী গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আবু বক্করের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল পানিছড়া গ্রামের মাখন মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৪০)। তার পূর্বপরিচিত ছিল হরগৌরী গ্রামের সুমন। সেই সুমন পেশায় একজন লেগুনা চালক। তার নেতৃত্বেই আছিয়া বেগমকে হত্যা করা হয় নিশ্চিত হতে পেরে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৮
এনইউ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।