রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে রাত ৮টার দিকে ওই গ্রামের একটি মুদির দোকানের সামনে সিগারেট চাওয়া নিয়ে কোরবান আলী নামে এক প্রতিবেশী তাকে বেদম মারধর করে।
সোমবার (০১ অক্টোবর) সকাল ১০টার সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিহত মজনুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর হাসপাতাল মগে পাঠিয়েছে।
নিহত মজনু শেখ ওই গ্রামের নুর আলী শেখের ছেলে এবং কোরবান আলী প্রামাণিক একই গ্রামের আছের উদ্দিনের ছেলে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস এতথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, মজনু পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন।
রোববার রাত ৮টার দিকে গড়মাটি মাঝিপাড়া তিনরাস্তার মোড়ে কুতুব আলীর দোকানের সামনে বেঞ্চে বসে মজনু স্থানীয় আজগর আলী নামে এক ব্যক্তি কাছে সিগারেট চান। এসময় উপস্থিত প্রতিবেশী কোরবান প্রামাণিক বিড়ি চাওয়ায় মজনুকে গাল-মন্দ করতে থাকেন। মজনুও গালাগালি শুরু করলে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
একপর্যায়ে কোরবান কাঠের বাটাম ও বাঁশের মুগুর দিয়ে মজনুর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি আঘাত করেন। এসময় মজনু প্রাণে বাঁচতে দৌড়ে পালাতে গিয়ে পাশের ডোবায় পড়ে যান।
পরে উপস্থিত অন্যান্যরা মজনুকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভ্যানে করে বাড়ি পৌঁছে দেন। এসময় তার নাক-কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। এ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না বলে পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর ঘাতক কোরবান পলাতক রয়েছেন।
ওসি আরও বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোরবান আলীকে গ্রেফতার করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৮
আরএ