সোমবার (১ অক্টোবর) সকালে নিহতের মরদেহ নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এর আগে রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের লষ্করদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর বাবা নরসিংদীর পলাশ থানার ঘোড়াশাল গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বাংলানিউজকে জানান, তার মেয়েকে দুই বছর আগে বিয়ে করে ঘরে তোলেন আড়াইহাজার উপজেলার লষ্করদী গ্রামের খেজমত আলীর ছেলে মঞ্জুর হোসেন (৩০)। বিয়ের পর থেকেই দেবর দেলোয়ার হোসেনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় নানা অপবাদ দিতো। নাসরিন এর প্রতিবাদ করলে দেবর নিজেও তাকে মারধর করতো এবং স্বামী মঞ্জুরকে দিয়েও মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করাতো। রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে নিহতের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে নিহত নারীর বাবাকে জানানো হয় তার মেয়ে মারা গেছে।
তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন তার মেয়ের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। নাসরিনের নাক মুখ এবং হাত পাসহ দেহের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও নির্যাতনের ছাপ। স্বামীর পরিবারের সদস্য এরই মধ্যে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ভোরে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকেই মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
নিহত নারীর বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ হত্যা মামলা না নিয়ে ইউডি মামলা নিয়েছে।
আড়াইহাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার সময় হত্যা করার মতো কোনো আলামত পাইনি। তাই আপাতত একটি ইউডি মামলা নিচ্ছি। ময়না তদন্তের পর নিশ্চত হতে পারলে হত্যা মামলা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৮
এএটি