সোমবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় দুই বিএনপি ও পাঁচ ছাত্রদল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- ছাত্রদল নেতা শাহাদাত হোসেন রনি (২১), ওমর ফারুক (১৯), আল-আমিন (১৯), শরীফুল ইসলাম (১৯), আবু হানিফ (১৯), বিএনপি নেতা গোলজার হোসেন (৫৫) ও আমজাদ হোসেন (৫৫)।
আসামিদের কাছ থেকে নয়টি অবিস্ফোরিত তাজা ককটেল, দু’টি কাঠের লাঠি ও একটি বাজারের ব্যাগ ভর্তি ৩৭টি ছোট পাথরের টুকরো জব্দ করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দিন, ইকবাল হোসেন, তৈয়ব আলী, ইসলাম, মহিউদ্দিল মোল্লা, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, আকবর হোসেন, মিনার হোসেন, মান্নান, বিল্লাল হোসেন, শিপন, রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, শাহ আলম মাস্টার, হেলাল, ইমাম হোসেন বাদল, আইয়ুব আলী মুন্সী, মশিউর রহমান মশু, এমএ হালিম জুয়েল, আজাহারুল ইসলাম নিপু, পলাশ, আবুল কাসেম কাজী, পল্টু চন্দ্র কর্মকারসহ অজ্ঞাত ৯০ জন।
মামলায় পুলিশ অভিযোগ করেছেন, রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় সমাবেশে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্বে ১২০ নেতাকর্মী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সেখানে নেতাকর্মীদের বাধা দিলে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় তারা। এতে পুলিশের আমির হোসেন ও বিল্লাহ হোসেন নামে দুই কনস্টেবল আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশসহ তাদের ধাওয়া দিলে আসামিরা পালিয়ে যান এবং সেখান থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৮
এসআরএস