রোববার (৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সড়কটি অবরোধ করে রেখেছেন তারা।
'মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড' জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ শাখার সদস্য সচিব রতন বিশ্বাস জানান, সরকারি কোনো নির্দেশনা না আশা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ অবরোধ পালন করছেন তারা। সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ অবরোধ চলবে।
এদিকে অবরোধের কারণে ঢাকামুখী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো রাস্তার দু’পাশে আটকা পড়েছে। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মো. নুরুল আলম এবং প্রক্টরিয়াল বডি অবরোধ থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ করলেও তারা তাদের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) জাবের মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, আন্দোলনারীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
তিনি জানান, এটা কোনো আন্দোলনের ভাষা হতে পারে না। কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে দেশের ব্যস্ততম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা মোটেও যৌক্তিক নয়।
নির্দেশনা পেলে আমরা তাদের সরানোর ব্যবস্থা নেবো বলেও জানান ওসি জাবের মাসুদ।
এর আগে একই দাবিতে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড' এর সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৮
আরআইএস/