বিক্ষোভ সমাবেশে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলা হয়েছে- এসময়ের মধ্যে তাকে অপসারণ করা না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে। পরে সমাবেশস্থলে তার কুশপুতুল দাহ করা হয়।
রোববার (৭ অক্টোবর) বিকেলে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে গোপালগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেতারা একটি বিশাল ঝাডু মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন। এছাড়া, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম মিটুর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিৎ কুমার বিশ্বাস, টুঙ্গীপাড়া পৌরসভা মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম কাকন, দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক, সদস্য মাহমুদ হোসেন দীপু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক এম জুলকদর আহম্মদ, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান তাসবিরুল হুদা বাবু, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি জি এম সাহাবুদ্দিন আজম, সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ (বি মোল্লা), জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধরণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌর কাউন্সিলররা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গোপালগঞ্জ ছেড়ে চলে যেতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে গোপালগঞ্জ থেকে বিতাড়িত করা হবে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, ঘুষ-দুর্নীতি, রেলের জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন কৌশলে বন্ধ করে রাখা, জেলা প্রশাসন স্কুল প্রতিষ্ঠা, ডায়াবেটিস সমিতি হাসপাতালে কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রাখা, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে জেলা প্রশাসক মোখলেসুর রহমান সরকারকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে শনিবার (৬ অক্টোবর) ৭ দিনের মধ্যে অপসারণ দাবি করে।
সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের কুশ-পুত্তলিকায় জুতা নিক্ষেপ, ঝাড়ু-পেটা ও দাহ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৮
আরএ