সেতু নির্মাণের চাহিদার কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার বিভাগে ডিও লেটার দিয়েছেন ২৭৩ উপজেলার এমপিরা। তাদের চাহিদা মোতাবেক দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কে অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, সংসদ সদস্যদের অনুরোধ এবং স্থানীয় চাহিদার প্রেক্ষিতে সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ৩৪০টি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি সারা দেশে বাস্তবায়িত হবে। তবে বড় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে ফিজিবিলিটি করতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশন।
প্রকল্প প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রতিনিধি জানান, প্রকল্পটি প্রণয়নে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়নি। তবে, একটি পূর্ণাঙ্গ ফিজিবিলিটি করা হবে। প্রকল্পটিতে অন্তর্ভুক্ত ব্রিজসমূহের প্রস্থ, নকশা, অ্যাপ্রোচ রোড, নদীর নাব্যতা ও ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্সের বিষয়ে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করা হবে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে। প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে এলজিইডি।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে হলে গ্রামীণ যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। যোগাযোগ ব্যবস্থা সড়ক নেটওয়ার্কের সুফল নিশ্চিত করা, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। কৃষি-অকৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সার্বিক দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষেই প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে।
প্রকল্প প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সহকারী প্রধান আব্দুল জববার বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার আলোকে ‘উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কে অনুর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় দুই হাজার কোটি টাকা। এ প্রকল্পের অধীনে সারাদেশে ৩৪০টি সেতু নির্মিত হবে। সামগ্রিকভাবে দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য হ্রাস পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ