মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. জাহিদ হাসানের আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হলে তিনি এ নির্দেশ দেন। এরআগে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর চার সপ্তাহের আগাম জামিন পান ওই চেয়ারম্যান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ হেউলিবুনিয়া গ্রামের ইউনুস মিয়ার স্ত্রী রাশেদা বেগম গত ১৫ আগস্ট বরগুনা থানায় চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগসহ মোট ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বরগুনা সদর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগের হুকুমে গত ১২ আগস্ট আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় আসামি জাহাঙ্গীর তার ছেলে আল-আমিনকে বাসা হতে ডেকে নিয়ে যায়। ওই সময় অন্য আসামিরা একত্র হয়ে হেউলিবুনিয়া ব্রিজের পাশে নিয়ে প্রথমে আল আমিনের দুই চোখে মরিচের গুড়া দিয়ে। পরে ছুরি দিয়ে তার চোখ উপড়ে ফেলে। পরে আসামিরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে আল আমিনের হাত-পা ভেঙে দেয়।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পর অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়ার পর ১৩ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যায়।
মামলার বাদী রাশেদা বেগম বলেন, ‘নারগিস নামে একটি মেয়ের সঙ্গে ওই চেয়ারম্যানের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি আমার ছেলে জানতে পারে। এ কারণে প্রভাবশালী চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ তার লোকজন দিয়ে আল আমিনকে তার ঘর থেকে তুলে নিয়ে চোখ তুলে ও পিটিয়ে হত্যা করে। ’
এ ব্যাপারে জানতে মামলার আসামি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা মামলায় জড়িত করেছেন। ’
আল-আমীন হত্যা মামলার আট আসামি গত ৪ অক্টোবর বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হাজির হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
বর্তমানে ১২ জন আসামির মধ্যে ১০ জন কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
জিপি