ঢাকা, শুক্রবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেমের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণ, আটক ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৮
প্রেমের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণ, আটক ৫

পটুয়াখালী: প্রেমের ফাঁদে ফেলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় দুই সন্তানের  জননীকে (৩০) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। 

 

​মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) ভিকটিম বাদী হয়ে উপজেলার মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরই মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।



আটকরা হলেন- কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানাধীন আজিমপুর এলাকার আলমগীর হোসেন (৪২), বিপিনপুর এলাকার রুবেল চৌকিদার (৩৫), একই এলাকার বাসিন্দা ও কুয়াকাটাস্থ বেঙ্গল গেস্ট হাউজের ম্যানেজার সাইদুর রহমান সুমন (২৬) তার সহকারী ও নবীনপুর এলাকার খলিলুর রহমান (৩৫) এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বালিগুগরী এলাকার বাসিন্দা ও যমুনা গেস্ট হাউজের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম (৫৭)।  

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে মহিপুর থানা পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে পুলিশ জানায়, ভিকটিম (৩০) দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানাধীন এলাকার বাসিন্দা ও দুই সন্তানের জননী। অভাবের তাড়নায় এবং স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ায় ভিকটিম ছয় বছর আগে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি শুরু করেন। তিনমাস আগে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে শহিদুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে শনিবার (৬ অক্টোবর) ঢাকা থেকে বাসে করে কুয়াকাটার উদ্দেশে রওয়ানা দেন ভিকটিম এবং রোববার (৭ অক্টোবর) কুয়াকাটায় এসে পৌঁছান তিনি।

পরে কুয়াকাটায় ঘোরাঘুরি শেষে রোববার রাতে প্রেমিক শহিদুল ভিকটিমকে নিয়ে তার কথিত বন্ধুর ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। কিন্তু সেখান গেলে বাড়ির মালিক শহিদুলকে গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন এবং ভিকটিমকে ঢাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য মামলার ১ নম্বর আসামি আলমগীর হোসেনের হাতে তুলে দেন।

রাত বেশি হওয়ার দোহাই দিয়ে আলমগীর ভিকটিমকে ঢাকায় না পাঠিয়ে কুয়াকাটাস্থ যমুনা হোটেলে নিয়ে যান এবং সেখানে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে রাতে থাকার প্রস্তুতি নেন। পরে মধ্যরাতে আলমগীর যমুনা হোটেলের ম্যানেজারকে সঙ্গে নিয়ে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরের দিন আলমগীর তার অপর সহযোগিদের সহায়তায় ভিকটিমকে কুয়কাটাস্থ বেঙ্গল গেস্ট হাউজে নিয়ে যান। সেখানে আটকে রাখার একদিন পরে ভিকটিমেক মামলার ৩ নম্বর আসামি ও বেঙ্গল রেস্ট হাউজের ম্যানেজারের সহকারী পুনরায় ধর্ষণ করেন।

সোমবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে ভিকটিম তার মোবাইল ফোন সেট ফেরত পেলে বিষয়টি স্বজনদের জানান। পরে তারা মহিপুর থানা পুলিশকে অবহিত করেন।

পরবর্তীতে কুয়কাটা বেঙ্গল গেস্ট হাউজে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত পাঁচজনকে আটক করে মহিপুর থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় ভিকটিম মঙ্গলবার বাদী হয়ে মহিপুর থানায় নামধারী পাঁচজনসহ অজ্ঞাত আরও তিন/চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাইনুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। দোষীদের উপযুক্ত বিচারের জন্য সব ধরনের আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এমএস/এপি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।