মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা গৃহকর্মী বৃষ্টিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। এ ঘটনায় গৃহকর্তা ইসমাইল হোসেনকে হাসপাতাল থেকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃষ্টিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হাজী মোহাম্মদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, তারা সিক্কাটুলীর পার্ক সংলগ্ন ১৯৩ নম্বর বাসার ছয়তলায় থাকেন। একই বাসার সাততলায় গৃহকর্তা ইসমাইল হোসেন ও গৃহকর্ত্রী নাদিয়া সুলতানার বাসায় কাজ করত বৃষ্টি।
রোববার (৭ অক্টোবর) গভীর রাতে সাততলা থেকে চিৎকার শোনা যায়। এতে আশপাশের ফ্ল্যাটের লোক জড়ো হয়ে ওই বাসায় যায়। সেখানে বৃষ্টিকে গুরুতর আহত অবস্থায় আমরা দেখি। গভীর রাত হওয়ায় ওইদিন আর বৃষ্টিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি।
পরের দিন (সোমবার) এই নির্যাতনের বিচার হওয়ার কথা হয়। তবে ওইদিন সকালেই গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী বৃষ্টিকে নিয়ে বাসার বাইরে যান। পরে মঙ্গলবার সকালে তারা বাসায় ফিরে আসে। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
গৃহকর্মী বৃষ্টি বাংলানিউজকে বলে, সে তিনমাস ধরে ওই বাসায় কাজ করেছে। ওই বাসায় কাজে আসার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে ইসমাইল ও তার স্ত্রী তাকে মারধর করতো। আর মারধরের কাজে তারা ব্যবহার করতো বিদ্যুতের তার দিয়ে বানানো বেত।
বৃষ্টি আরও বলে, রোববার রাতে বৃষ্টিকে আবারও মারধর করে ইসমাইল ও তার স্ত্রী। শারীরিক নির্যাতনের একপর্যায়ে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে তার মধ্যে বৃষ্টির দুই হাত ও পা চুবিয়ে ধরে। এতে চিৎকার-চেঁচামেচি করায় নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় তারা।
বংশাল কায়েতটুলী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব আলম বাংলানিউজকে বলেন, গৃহকর্মী নির্মম নির্যাতনের বিষয় জানতে পেরেছি। বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতন করা হতো। রোববার তার হাত পা গরম পানিতে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। গৃহকর্তা ইসমাইলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এজেডএস/ইএআর/এএটি