ঢাকা, শুক্রবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কী অপরাধ ছিল আমাদের?

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
কী অপরাধ ছিল আমাদের? গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভী রহমানের প্রতিকৃতি/ছবি- শাকিল

ঢাকা: কয়েক ঘণ্টা বাদেই দেশের ইতিহাসে বর্বরোচিত হামলার বিচারের রায় হতে যাচ্ছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সেদিনের প্রত্যক্ষ সাক্ষীরা আজও একত্র হয়েছেন।

সেদিনের দুঃসহ স্মৃতি যখনই মনে আসছে অনেকে ডুকরে কেঁদে ফেলছেন। তাদের একটাই কথা, কি অপরাধ ছিল আমাদের? আমরা তো নেত্রীর মুখের কথা শোনার জন্য বসেছিলাম।

হঠাৎ গ্রেনেড হামলায় প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। আমরা আজ ১৪টা বছর পঙ্গুত্ব নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে আছি। আদালতের কাছে আমাদের একটাই প্রত্যাশা, ন্যায়বিচার যেন হয়। যারা গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা করছি।

বুধবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মী ও সেদিনের ঘটনায় আহতরা রায়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত হন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়াতুল ইসলাম স্বপন। রায় ঘোষণা উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘সেদিন ছিল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তির পক্ষে সমাবেশ এবং মিছিল। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ছিলো পিনপতন নীরবতা, কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বক্তব্য শেষ হওয়ার পর একজন সাংবাদিক বললেন আপা আমরা ছবি পাইনি। তখন নেত্রী জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলবেন এমন সময় বিকট শব্দ। এরপর আরও তিনটি বোমার শব্দ। পুরো এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। মানুষের আহাজারি, চিৎকার; চারদিকে শুধু স্যান্ডেল আর স্যান্ডেল। সেদিন আহতদের উদ্ধার করতে দেওয়া হয়নি। তাই আজ আদালতের কাছে আমার প্রত্যাশা হামলাকারী ও চক্রান্তকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি চাই’।

সেদিনের ঘটনায় পা হারানো বংশাল থানা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রাশেদা আক্তার রুমা বলেন, সেদিন আমি আইভী আপার পাশেই ছিলাম। আমরা এসেছিলাম সমাবেশে নেত্রীর কথা শুনতে। আমাদের কী অপরাধ ছিল? সেদিন আমাকে উদ্ধার করে যখন নিয়ে যাওয়া হয় তখন ভাবছিলাম মারা গেছি। আজ নেত্রী আমাদের চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করেছেন। তারপরেও পঙ্গুত্ব বরণ করে চলছি। আমরা সেই হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

সেদিনের ঘটনায় আহত মোস্তফা ফকিরের ছেলে আমিনুল ইসলামেরও একই প্রত্যাশা, সর্বোচ্চ শাস্তি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।