বুধবার (১০ অক্টোবর) ঘোষণা শেষে আদালত প্রাঙ্গণে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট কাজল বলেন, হাওয়া ভবন সম্পর্কে মামলার পর্যবেক্ষণে এসেছে (জড়িতরা) এক ও অভিন্ন লক্ষ্যে তারেক রহমান এ ঘটনার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত।
‘ফাঁসির দণ্ড পাওয়া ১৯জনকে ৩০২, ১২০ (ক) ও ৩৪ ধারায় তাদের এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লূৎফজ্জামান বাবার, রেজ্জাকুল হায়দার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিমকে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও ৪ ও ৬ ধারায় তাদের যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে। সুতরাং দুটি মামলায় তাদের দুটি ফাঁসি ও দুটি যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। ’
আরও পড়ুন>>
** মামলার ১২টি পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া হয়েছে
মামলার বিচার্য বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজল বলেন, ‘পশ্চিম মেরুল বাড্ডায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কোনো ষড়যন্ত্র হয়েছিলো কিনা, রুহুল আমিনের বাড়িতে কোনো ষড়যন্ত্র হয়েছিলো কিনা, তৎকালীন বিরোধীদলের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে কিনা, ১৮ আগস্ট পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেনেড প্রাপ্তি ও অর্থ এবং প্রশাসনিক সহায়তা, মুফতি আবদুস সাত্তার এবং আবদুস সালাম পিন্টু তাজউদ্দিন ১৫টি গ্রেনেড সরবারাহ করেছে কিনা, অভিযুক্ত আসামিরা ষড়যন্ত্র করেছে কিনা, ব্লক ৩, সেকশন ৮ এ এই আসামিরা মাওলানা আবু তাহের পিন্টু ষড়যন্ত্র করেছে কিনা, মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ রোডে ষড়যন্ত্র হয়েছে কিনা, আবদুল খালেকের বাসা হাওয়া ভবনে বিএনপি-জামায়াত জোটের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো কিনা, একই স্থানে এ ঘটনা ঘটানোর জন্য তারেক রহমান জঙ্গিদের সঙ্গে মিটিং করেছেন কিনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ডিসকাশন হয়েছে। এছাড়া তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ কাজটা হয়েছে সেটাও এখানে ফাইন্ডিংসে এসেছে।
এর আগে দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বাবরসহ ১৯ জনকে ফাঁসি, তারেকসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও ১১জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এমএ/এমএ