এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ জনের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর রয়েছেন। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১০ অক্টোবর) পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর ঝিনাইদহে আনন্দ র্যালি ও সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
দুপুরে শহরের পোস্ট অফিস মোড় থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
এদিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বুলবুলের বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার বকসিপুর গ্রামে এবং রতন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার বেলাত আলীর ছেলে।
বুলবুল এক সময় মেয়ে সেজে যাত্রাদলে নাচতেন। বিয়ের পর শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকায় দর্জির দোকান দিয়ে সেখানেই থাকতেন তিনি। সেখান থেকে মুফতি হান্নানের সঙ্গে তার পরিচয়। ২০০৭ সালে ওই দোকান থেকেই মুফতি হান্নানকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এদিকে, রতন ঝিনাইদহ শহরে বাইসাইকেল মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। এলাকার কিংকন ও আরিফ বিল্যাহর মাধ্যমে মুফতি হান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। ২০০৭ সালে মাগুরার শ্রীপুর থেকে র্যাব তাকে আটক করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এসআই