বর্তমানে ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহাবুবা পারভীন। তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আজ অপরাধীদের সাজা হয়েছে।
তিনি বলেন, শরীরে ১৮শ” স্প্লিন্টারের যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছি। আজ রায় শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমার শরীরে থাকা সেই স্প্লিন্টারের জ্বালা অনেকটা কমে গেছে। গত ১৪ বছরে এই স্প্লিন্টারের যন্ত্রণায় আমি ঈদের আনন্দও উপভোগ করতে পারিনি। আজ রায় শোনার পর আমার ঈদের চেয়েও বেশি খুশি লাগছে।
মাহাবুবা বলেন, তবে আরও বেশি খুশি হতাম যদি হাওয়া ভবনে বসে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারী মাস্টারমাইন্ড তারেক জিয়ার ফাঁসির রায় হতো।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় অংশ নেন মাহাবুবা। সেদিন শেখ হাসিনার শেষ হতেই প্রাণঘাতি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হতে থাকে। চলে গুলিবর্ষণও। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশে চালানো হামলায় প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী, নারীনেত্রী আইভী রহমানসহ ২৬ জন নিহত হন, আহত হন কয়েকশ মানুষ। আহতদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন শরীরে অসংখ্য গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। অনেকেই আবার চিরদিনের মতো পঙ্গু হয়ে গেছেন।
ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া মাহাবুবা শরীরে ১৮শ’ স্প্লিন্টার নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তার বা হাত এখনও অচল, চোখে কম দেখেন, ডান কানে কম শোনেন, তার শরীরের চামড়ার ভেতরে ঘা হয়ে গেছে। কষ্ট হলেও মাহাবুবা এখনও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মাহবুবা পারভীনের ২ ছেলে আসিফ পারভেজ ও রুশাদ জোবায়ের। স্বামী বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট এমএ মাসুদ। বড় ছেলে আসিফ পারভেজ ঢাকা ইউনার্ভিসিটিতে এমবএ‘তে ভর্তি হয়েছেন এবং ছোট ছেলে রুশাদ জোবায়ের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আর্কিটেক্টচার হয়েছেন ২০১৪ সালে। তার স্বামী এম এ মাসুদ বর্তমানে সাভারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
আরআর