বুধবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিতে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘মেঘনা নদীর পানি সরবরাহে টেকসই ও শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা’- শীর্ষক এ সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে পরিবেশ, বন জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা ওয়াসা, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, জাপান ফান্ড ফর পোভার্টি রিডাকশন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ যেভাবেই হোক, আমাদের রোধ করতে হবে। এ নদীর দূষণ রোধ করতে না পারলে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মারাত্মক সমস্যা হয়ে পড়বে। ঢাকার চারপাশের নদী দূষণের জন্যই আমাদের এখন মেঘনা নদী থেকে পানি সরবরাহের জন্য উদ্যোগ নিতে হয়েছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মুহসিন চৌধুরী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। জনবল নেই। সে কারণে নদী দূষণ রোধে মনিটরিং জোরদার হচ্ছে না। পরিবেশ অধিদপ্তরে আরও ৫৪৫ জন জনবলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এ জনবল বাড়লে কাজে গতি আসবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকার চারপাশে নদীর পানি দূষণ হয়েছে। তবে এ দূষণ রোধ করে নদীকে পুনরুজ্জীবিত করা অসম্ভব নয়। লন্ডনে টেমস নদীর পানি দূষিত হয়েছিলো। সে নদীকে দূষণমুক্ত করা হয়েছে। আমরাও চাইলে নদীকে দূষণমুক্ত করতে পারি। সে পানি ব্যবহারও করতে পারি।
সেমিনারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম মঞ্জুরুল হান্নান খান, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ, ঢাকার জাপান দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ইয়োশুরো শিনোতো প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
টিআর/আরবি