পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলীপুরা গ্রামের মোতালেব মৃধার ছেলে মামুন মৃধা। একমাত্র ছেলে হত্যার বিচারের দাবিতে কাটিয়ে দিয়েছেন ১৪টি বছর।
বুধবার (১০ অক্টোবর) বুধবার (১০ অক্টোবর) পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষণার খবর শোনার পর মোতালেব মৃধা বলেন, যে ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি, পরিবারের হাল ধরবে কিন্তু তাকে তো হত্যা করা হলো। ১৪ বছর ধরে ছেলে হত্যার বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম।
তিনি বলেন, রায়ে আমরা খুশি। ১৪ বছর পর মামুন হত্যার বিচার পেয়েছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। সরকারের কাছে দাবি যারা এখনও পালিয়ে আছেন তাদের দেশে এনে যেনো দ্রুত বিচার কার্যকর করেন।
এদিকে রায় ঘোষনার খবর শুনে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মামুনের মা মোর্শেদা বেগম।
তিনি জানান, এক যুগ পার হয়ে যাওয়ার পরও যখন ছেলে হত্যার বিচার হয়নি, তখন পরিবারের সবাই হতাশায় ছিলেন। এখন রায় হয়েছে। যারা আমার বুকের ধন মামুনকে হত্যা করছে তাদের রায় দ্রুত কার্যকর হোক। তবেই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।
মামুন মৃধার চাচা ও দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন শওকত বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পরে রায় হলেও আমরা সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, এতগুলো তাজা প্রাণ গেলো কিন্তু সেখানে সবার মৃত্যুদণ্ড হলো না। আমরা মনেকরি নীতিনির্ধারকরা উচ্চ আদালতে যাবেন।
২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত ২৪ জনের মধ্যে নিহত হন ঢাকার কবি কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মামুন মৃধা। ২১ আগস্ট বাবাকে জানিয়েই আওয়ামী লীগের জনসভায় যায় মামুন। গ্রেনেড হামলার খবর শুনে বাবা মোতালেব বাসায় ফিরে ছেলেকে না পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ছেলের খোঁজ না মেলায় ঢাকার আত্মীয় স্বজনদের বাসায় খোঁজ নেন। রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছেলের লাশের খবর মেলে।
এদিকে, রায় ঘোষণার পর এখন তা কার্যকরের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এমএস/এএইচ