ঢাকা, শুক্রবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘রায় খতিয়ে দেখবো’, ‘আপিলে খালাস পাবো’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
‘রায় খতিয়ে দেখবো’, ‘আপিলে খালাস পাবো’

ঢাকা: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘এখানে ফাঁসি যাদের হয়েছে, তাতে আমরা স্বস্তি অনুভব করছি। তবে আরও কারো কারো ফাঁসি দেওয়া উচিৎ ছিল কি-না সেটা আমি খতিয়ে দেখবো’।
 

অপরদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন আশা প্রকাশ করেছেন, আপিল করার পর দণ্ডিতরা খালাস পাবেন।
 
রায়ের পর উচ্চ আদালতে নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে জয়নুল আবেদীন এসব মন্তব্য করেন।


 
মাহবুবে আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচারের ইতিহাসে আজকে একটি মাইলফলক সূচিত হলো। যে মামলাটিকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য নানারকম ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। জজমিয়া নামক এক নিরপরাধ লোককে সাজানো হয়েছিল আসামি। সে পর্যায় থেকে মামলাটি আলোর মুখ দেখেছে এবং অপরাধীরা সাজা পেয়েছে। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি বড় সার্থকতা’।
 
‘কোনোভাবেই বলা যাবে না এটা সাধারণ সন্ত্রাসীদের কাজ এটা অবশ্যই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই শেখ হাসিনাকে তার দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্যই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল এবং হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করা হয়েছিল। এই মামলাটিতে প্রমাণ হলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কতখানি ভয়ঙ্কর হতে পারে! রাজনৈতিকভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন’।
 
তিনি বলেন, ‘এখানে যাদের ফাঁসি হয়েছে, তাতে আমরা স্বস্তি অনুভব করছি। তবে আরও কারো কারো ফাঁসি দেওয়া উচিৎ ছিল কিনা সেটা, রায়টা আমি খতিয়ে দেখবো। আগে রায়টা পড়ে দেখবো। যদি রায়ে উল্লেখ থাকে যে, তারেক রহমানকে মাস্টারমাইন্ড তাহলে অবশ্যই তার ফাঁসি দেওয়া উচিৎ ছিল’।
 
এদিকে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে বিক্ষাভ সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল অবেদীন বলেন, ‘এ মামলায় তারেক রহমান ন্যায়বিচার পাননি। এমনকি যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তারাও ন্যায়বিচার পাননি। এই মামলায় সাজা দেওয়ার মতো কোন ইনগ্রেডিয়েন্ট (উপাদান) নেই। ……..এই সাজা দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। ’
 
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, ‘এই মামলায় যেহেতু কোনো ইনগ্রেডিয়েন্ট নেই, আমরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। সর্বোচ্চ আদালত থেকে ইনশাল্লাহ আমরা খালাস পাবো আল্লাহর রহমতে’।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০,২০১৮
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।