বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলাধীন গোবিন্দপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-দেবিদ্বার উপজেলার প্রেমু গ্রামের আব্দুল ওহাবের মেয়ে পপি আক্তার (১৮), একই গ্রামের মরিয়ম আক্তার মুনমুন (১৮)।
মাইক্রোবাস যাত্রী আহত সামছুল হুদা জানান, তিনি চান্দিনা বাসস্টেশন থেকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট যাওয়ার উদ্দেশে মাইক্রোবাসে উঠেন। ওই মাইক্রোবাসে কলেজ ছাত্রীসহ আরও অন্তত ১০ জন ছিলেন। গোবিন্দপুর স্টেশনে পৌঁছানোর পর যাত্রী নামানোর জন্য গাড়িটি থামলে পেছনের একটি মাইক্রোবাস ওভারটেকিং করছিল। এসময় পেছন থেকে ছুটে আসা দ্রুতগামী বালুবাহী ট্রাক দুইটি মাইক্রোবাসকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারাধন চন্দ্র দাস জানান, একটি বড় মাইক্রোবাস চান্দিনা থেকে ক্যান্টনমেন্ট যাচ্ছিল। অন্যটি বিদেশি যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে মনোহরগঞ্জ যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসের যাত্রী নামানোর সময় পেছন থেকে ট্রাক ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে লাভলী আক্তার নিহত হন। বাকিদের কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর পপি আক্তার ও অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে মুনমুনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
আরআর