কাঁঠালবাড়ী ঘাটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভার সব কাজ শেষ হয়েছে একদিন আগেই। প্রধানমন্ত্রী জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়া জন্য প্রস্তুত রয়েছে মঞ্চ।
সকালে পদ্মাসেতু এলাকায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মাসেতু। বিশ্বব্যাংক মুখ সরিয়ে নেওয়ার পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নিজস্ব অর্থায়নেই শুরু হয় পদ্মাসেতুর কাজ। খরস্রোতা পদ্মার বুকে অবশেষে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে পদ্মাসেতু। সেতুর কাজের এই অগ্রগতি দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন পদ্মার পাড়ে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে পুরো ঘাট এলাকায়। পথে পথে ব্যানার, তোরণ, ফেস্টুন, পোস্টারে ঘিরে ফেলা হয়েছে। শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো জনসভাকে সফল করতে নিয়েছে নানান পদক্ষেপ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট এলাকা ও শরিয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা ব্যানার, ফেস্টুন, ও তোরণে ছেয়ে গেছে চারদিক।
রোববার (১৪ অক্টোবর) সকালে কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাটের ২ নম্বর টার্মিনালে প্রস্তুত করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। মঞ্চটির সামনে তৈরি করা হয়েছে বড় একটি প্যান্ডেল। আশে-পাশের সড়ক ও ঘাট এলাকায় এরই মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকেও ঘাটের গোল চত্বরে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। এছাড়াও কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাটের প্রতিটি সংযোগ সড়কে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী রোববার সকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর নামফলক উম্মোচন করবেন। এরপর ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ঢাকা-মাওয়া অংশের সিক্স লেন কাজের উদ্বোধন করবেন। পরে পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প, নদী শাসন, স্থায়ী নদীতীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধন শেষে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প এলাকার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন। সেখান থেকে সুধী সমাবেশে যোগদানের পরে দুপুর ১২টার দিকে শরিয়তপুরে জাজিরায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে পদ্মাসেতুর নাম ফলক (জাজিরা অংশ), পাঁচ্চর-ভাঙা মহাসড়কের উদ্বোধন ও পদ্মাসেতুর রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। পরে মধ্যাহ্ন বিরতি শেষে বিকেল ৩টায় মাদারীপুর শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট এলাকায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দিবেন তিনি।
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মাদারীপুর ছাড়াও ফরিদপুর, শরীয়তপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক লোক আসবে। দলের প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নেত্রীকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সুব্রত কুমার হালদার বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে দুই জেলার দু’টি ভেন্যু আছে। শরীয়তপুরের জাজিরাতে হবে উদ্বোধন আর শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট এলাকায় জনসভা। জনসভাস্থলের প্রতিটি জায়গায় পুলিশের অবস্থান রয়েছে। সাদা পোশাকেও পুলিশের অবস্থান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
জিপি