রোববার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃতের স্বজন আবু হানিফ জানান, শনিবার (১৩ অক্টোবর) দিনগত রাতে রোজিনার মরদেহ নিয়ে স্বামী আবুল বাশার বরিশালের দিকে যাচ্ছিলেন।
গৃহবধূর মামা আনোয়ার জাহিদ বলেন, বিয়ের ১ বছর পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে রোজিনার উপর নির্যাতন চালাতেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন । ২০১৩ সালে হত্যার উদ্দেশ্যে ভাগ্নি রোজিনার শরীরে একবার আগুন দেওয়া হয়েছিলো।
তিনি দাবি করেন, রোজিনাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে এমন খবর পেয়ে ভৈরবপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের মাধ্যমে পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পরে পুলিশের সহায়তায় রোজিনাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং স্বামী আবুল বাশারকে আটক করা হয়।
পরিবারের স্বজনদের ধারণা, হত্যার পর মরদেহ গুমের চেষ্টা করছিলেন আবুল বাশার। তারা এ ঘটনায় হত্যা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক সরোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। গৃহবধূর গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। গৃহবধূর আটক স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এমএস/আরআর