বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্য ও খাদ্য অধিকার আইনের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক সেমিনারে একথা জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে হতদরিদ্রের সংখ্যা এখন ২ কোটি।
তিনি বলেন, এজন্য আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে হবে। এটা করতে হলে স্থানীয় এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বার, সাংবাদিককে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মা ও শিশুর পুষ্টি নিরাপত্তায় চাল বিতরণ শুরু করেছি। সরকার পুষ্টি চালের পর্যাপ্ত যোগান দিতে কারখানা নির্মাণ করছে। আমাদের উদ্যোগে এখন ফরমালিন কমে গেছে, খাদ্যে বিষ প্রয়োগ নেই।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, দেশে জলবায়ুর ক্ষতি মোকাবিলা করা গেলে উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি এক থেকে দেড় গুণ বেড়ে যাবে। জলবায়ু মোকাবিলায় আমাদের জোর দিতে হবে। এ কারণে হাওড় অঞ্চলে বন্যায় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহিলা অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, ইকো কো-অপারেশন বাংলাদেশের হেড অব প্রোগ্রাম আবুল কালাম আজাদ, খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী, সহ-সভাপতি শাহিন আক্তার ডলি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
ইএআর/আরআর